

বুধবার ● ২৩ জুলাই ২০২৫
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » গবেষণা ছাড়া দেশের উন্নয়ন কার্যক্রম সম্ভব নয় : বিইপিআরসি চেয়ারম্যান
গবেষণা ছাড়া দেশের উন্নয়ন কার্যক্রম সম্ভব নয় : বিইপিআরসি চেয়ারম্যান
বাংলাদেশ সরকার এর সিনিয়র সচিব এবং বাংলাদেশ এনার্জি এন্ড পাওয়ার রিসার্স কাউন্সিল এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওয়াহিদ হাসান এনডিসি বলেছেন, একটি দেশ এগিয়ে যায় গবেষণার মাধ্যমে। গবেষণা ছাড়া দেশের উন্নয়ন কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়া যায় না। আমাদের দেশে অনেক সমস্যা রয়েছে আর এই সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য প্রয়োজন গবেষণা। দেশের প্রতিটি সমস্যা চিহ্নিত করে তার কার্যকর সমাধানে গবেষণাকে কাজে লাগাতে হবে। তাই আমাদের গবেষণার ফলাফল যেন দেশের উন্নয়ন ও জনকল্যাণে কার্যকর ভূমিকা রাখে, সে লক্ষ্যে সবাইকে সচেতন ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে।
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগ ও বিইপিআরসি এর যৌথ উদ্যোগে আজ ২৩ জুলাই বুধবার ২০২৫ বেলা ১টায় চুয়েটের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে আয়োজিত “ইনোভেশন পাওয়ার ইনফ্রাস্ট্রাকচার: এডভান্সিং ক্লিন এফোর্ডেবল এনার্জি ফর বাংলাদেশ ফিউচার” শীর্ষক সিম্পোজিয়ামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে বিশেষ অতিথি ও কী-নোট স্পিকার ছিলেন চুয়েটের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া, বাংলাদেশ সরকার এর অতিরিক্ত সচিব এবং বাংলাদেশ এনার্জি এন্ড পাওয়ার রিসার্স কাউন্সিল (বিইপিআরসি) এর সদস্য ড. মো: রফিকুল ইসলাম ও চুয়েটের তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. কাজী দেলেয়ার হোসেন। এতে কী-নোট স্পিকার ছিলেন ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট) ইইই বিভাগের অধ্যাপক ড. মো: রাজু আহমেদ এবং স্পিকার ছিলেন বাংলাদেশ এনার্জি এন্ড পাওয়ার রিসার্স কাউন্সিল (বিইপিআরসি) এর পরিচালক (ইনোভেশন) ড. হাসান মাহমুদ। সিম্পোজিয়ামে সভাপতিত্ব করেন ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ এর বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. তোফায়েল আহমেদ। এতে সঞ্চালনা করেন ইইই বিভাগের অধ্যাপক ড. রাশেদ মোঃ মুরাদ হাসান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় এবং টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ট অর্জনে ক্লিন এনার্জি অপরিহার্য, সময়োপযোগী এবং নির্ভরযোগ্য জ্বালানি হিসেবে বৈশ্বিকভাবে বিবেচিত। ক্লিন এনার্জি হিসেবে নবায়নযোগ্য জ্বালানি একটি আশার আলো হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি একটি ন্যায়সঙ্গত, পরিবেশবান্ধব এবং টেকসই উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি। নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে নীতি-স্পষ্টতা, সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ ও তা বাস্তবায়নের সম্ভাবনা এবং বিবিধ চ্যালেঞ্জসহ বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানির রূপান্তর সম্পর্কে সচেতনতা ও চাহিদা বৃদ্ধি করতে নানামুখী কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। এভাবে আমরা জ্বালানি খাতে একটি সাশ্রয়ী ও টেকসই ভবিষ্যত গড়ে তুলতে পারবো বলে মনে করি।