

মঙ্গলবার ● ১ জুলাই ২০২৫
প্রথম পাতা » খেলা » তায়কোয়ানডো এডহক কমিটিতে বিতর্কিত ব্যক্তি জনি
তায়কোয়ানডো এডহক কমিটিতে বিতর্কিত ব্যক্তি জনি
বাংলাদেশ তায়কোয়ানডো ফেডারেশনের উন্নয়ন ও বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পত্র নং-৩৪.০৩.০০০০.০০৪.০৫.০২৪.২৪ অনুযায়ী গঠিত এডহক কমিটিতে বিতর্কিত ব্যক্তি হিসেবে গোলাম সাকলাইন জনির অন্তর্ভুক্তি নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা।
প্রাপ্ত তথ্য ও প্রমানাদি অনুযায়ী, গোলাম সাকলাইন জনি আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের সক্রিয় কর্মী। তিনি আওয়ামী লীগ আমলে আওয়ামী লীগ এর ছত্রছায়াতে রাজশাহী জেলা ক্রীড়া সংস্থার তায়কোয়ানডো সমিতির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এবং রাজশাহীর রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন এবং রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছেন।
বিশেষ করে ২০২৪ সালের জুলাই মাসের ‘জুলাই আন্দোলন’-এ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে রাজশাহীতে যে হত্যা, দমন-পীড়ন চালানো হয়েছিল, সেই আন্দোলন দমনে জনাব গোলাম সাকলাইনের সক্রিয় ভূমিকা ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। ওই সময়ে রাজশাহীর রাজপথে মিছিলে ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন সভায় তাকে সরাসরি অংশ নিতে দেখা যায়। জুলাই আন্দোলনের সময় ছাত্র-যুব সমাজের উপর চালানো হত্যা, দমন-পীড়নের নৃশংসতা এখনও অনেকের মনে দুঃখের স্মৃতি হয়ে রয়েছে। সবচেয়ে আশঙ্কার বিষয় হলো, সম্প্রতি সাউথ এশিয়ান গেমস (পাকিস্তান) খেলোয়াড় বাছাই প্রোগ্রামে গোলাম সাকলাইন রেফারি হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। এ ধরনের রাজনৈতিকভাবে বিতর্কিত ব্যক্তির এমন গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক বাছাই প্রক্রিয়ায় যুক্ত থাকা বাংলাদেশের জাতীয় ফেডারেশনের নিরপেক্ষতা ও পেশাদারিত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে বলে তায়কোয়ানডো সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
ক্রীড়ামোদীদের একাংশের দাবি, এডহক কমিটিতে ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার বাছাই প্রোগ্রামে রাজনৈতিক পক্ষপাতমূলক এবং বিতর্কিত ব্যক্তির অন্তর্ভুক্তি তায়কোয়ানডো খেলাধুলার সুষ্ঠ পরিবেশ ও ফেডারেশনের মর্যাদাকে ক্ষুন্ন করছে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ এবং বাংলাদেশ তায়কোয়ানডো ফেডারেশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে খেলাধুলায় নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহবান জানিয়েছেন তারা।