শিরোনাম:
●   আমি মেহনতি মানুষের রাজনীতি করি : জুঁই চাকমা ●   পার্বত্য চট্টগ্রাম বড়ুয়া সংগঠনের ০৯ সদস্য বিশিষ্ট রাঙামাটি পৌরসভার ০৮ ওয়ার্ড কমিটি গঠন ●   রাঙামাটিতে সম্প্রীতি সমাবেশে পুলিশ সুপার : সম্প্রীতির কোনো বিকল্প নেই ●   পার্বতীপুরে পশু হাসপাতালে রোগ প্রতিরোধের ভ্যাকসিন নেই ●   কুষ্টিয়ায় হাসপাতালের পুকুর থেকে যুবতীর লাশ উদ্ধার ●   ঝালকাঠিতে চেক জালিয়াতি মামলায় অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক গ্রেফতার ●   মিরসরাইয়ে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিকআপের সাথে ধাক্কায় নিহত-১ ●   গৌরীপুরে অচল ১৮ লাখ টাকার পাবলিক টয়লেট ●   গণতান্ত্রিক আইনজীবী সংহতির আহবায়ক কমিটি গঠন ●   পার্বতীপুর মধ্যপাড়া রেঞ্জ বন বিভাগের ১১শত একর বনভূমি দখল ●   ঈশ্বরগঞ্জে ইজিবাইক চালক খুন ●   শ্রমজীবী মেহনতি মানুষ নতুন করে প্রতারণার শিকার হয়েছেন ●   হিতকরী’র অর্থ সহায়তা প্রদান, সীরাত প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ ●   বিষাদের সুর, আত্রাইয়ে সিঁদুর খেলার মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গাকে বিদায় ●   ইউপিডিএফ-এর ভয়ঙ্কর চক্রান্তের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ সমাবেশ ●   ঈশ্বরগঞ্জে দুই ভাইয়ের ৯ বছরেও জমি রেজিস্ট্রি হয়নি ●   কর্ণফুলী নদীতে প্রতিমা বির্সজনের মাধ্যমে শেষ হলো শারদীয় দুর্গা পুজা ●   গুলশান-বনানী পূজামণ্ডপে মা দুর্গার প্রতিমার বিসর্জন শেষে দুর্গা মায়ের শান্তির জল প্রদান ●   ছাতক শাহজালাল দারুসসুন্নাহ্ মাদ্রাসায় হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন ●   আত্রাইয়ে মসজিদভিত্তিক গণশিক্ষা কার্যক্রমের অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত ●   ঈশ্বরগঞ্জে এক আলেমের দাড়ি ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ ●   কাপ্তাইয়ে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান ●   বাঘাইছড়িতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বিজিবি’র মতবিনিময় সভা ●   কুষ্টিয়ায় বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত ●   ঈশ্বরগঞ্জে প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে সার ও বীজ বিতরণ ●   রেডব্রিজ কাউন্সিলের বাজারের স্টলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা ●   গণ শুনানি ছাড়া কোন মেগা প্রকল্প গ্রহণ করা যাবেনা ●   বারিধারা ডিওএইচএ দুর্গাপূজার মন্ডপ পরিদর্শন করলেন ডিবিসি নিউজ চ্যানেল এর পরিচালক ●   ঘোলা পানিতে কেউ যেন মাছ শিকার না করতে পারে : জুঁই চাকমা ●   রাঙ্গুনিয়ায় চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস হত্যা মামলা ও দুর্গাপূজা নিয়ে পুলিশের মতবিনিময়
রাঙামাটি, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ৩ কার্তিক ১৪৩২



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
বৃহস্পতিবার ● ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » কৃষি » খাগড়াছড়িতে উলফা ও ইউপিডিএফ এর গোপন বৈঠক
প্রথম পাতা » কৃষি » খাগড়াছড়িতে উলফা ও ইউপিডিএফ এর গোপন বৈঠক
বৃহস্পতিবার ● ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

খাগড়াছড়িতে উলফা ও ইউপিডিএফ এর গোপন বৈঠক

---
অনলাইন ডেস্ক :: দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি উত্তর-পূর্ব ভারতের বিচ্ছিচ্ছন্নতাবাদী সংগঠন উলফা (স্বাধীন) সামরিক প্রধান পরেশ বড়ুয়া খাগড়াছড়ির কচুছড়ায় গোপন বৈঠক করেছেন- এমন খবর দিয়েছে অসামের প্রভাবশালী বাংলা দৈনিক যুগশঙ্খ।

মঙ্গলবার ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনটিতে দাবি করা হয়েছে, নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবির প্রতি অনেক বিজিবি কর্তার কিঞ্চিৎ নরম মনোভাবও রয়েছে। ফলে বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত টপকে খুব সহজেই ভারতে ঢুকে পড়ছে তারা। নাশকতার ছক করছে পশ্চিমবঙ্গসহ গোটা ভারতে।

প্রতিবেদনে উলফা নেতার সাথে বাংলাদেশে বাংলাদেশের ‘ইউডিএফবি (ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট অব বাংলাদেশ)’ ক্যাডারদের সাথে বৈঠকের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রাম বা বাংলাদেশে এই নামে কোনো সংগঠন আছে বলে জানা যায়নি। বরং পার্বত্য চট্টগ্রামে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রাটিক ফ্রন্ট(ইউপিডিএফ) নামে একটি পাহাড়ী সংগঠন রয়েছে যাদের শক্তিশালী সামরিক শাখা রয়েছে। তবে যুগশঙ্খ পত্রিকায় উল্লেখ করা ইউডিএফবি ও ইউপিডিএফ একই সংগঠন কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

নিচে যুগশঙ্খের প্রতিবেদনটি হুবহু তুলে ধরা হলো:

“আসামে নাশকতা চালাতে এবার বাংলাদেশের খাগরাছড়ি জেলার কচুছড়া এলাকায় ইউডিএফবি (ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট অব বাংলাদেশ) জঙ্গিদের সাথে বৈঠক করলেন উলফার স্বঘোষিত সেনা প্রধান পরেশ বরুয়া! এমন চাঞ্চল্যকর তথ্যই পেয়েছেন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গোয়েন্দারা !

ডেট লাইন ১৯ ডিসেম্বর। ওই দিনই চট্টগ্রাম ডিভিশনের খাগরাছড়ি জেলার মানিকছড়ি থানার কচুছড়ার এক গোপন ডেড়ায় ইডিএফবি ক্যাডার বীরকেতন চাকমা, অরুণ বড়ুয়া, বাবুল বড়ুয়া, বিশু বড়ুয়াসহ মোট ২৫ জন ক্যাডারের সঙ্গে বৈঠক করেন ইন্ডিয়ার মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকার অর্ন্তভুক্ত পরেশ বড়ুয়া। এমন তথ্যই হাতে পরেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনীর। কেন এই বৈঠক?

মূলত আসামের নির্বাচনকে টার্গেট করেছেন উলফার স্বঘোষিত সেনা প্রধান পরেশ বরুয়া। কিন্তু‘ মায়ানমার থেকে আসামে ঢোকা এখন কঠিন হয়ে পড়েছে তাঁর জন্য। বিশেষ করে মনিপুর সীমান্তে নজরদারি বাড়িয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। নাগাল্যান্ডের ভেতরেও আলফার অস্বস্তি বেড়েছে এনএসসিএন (আইএম) দীর্ঘমেয়াদি শান্তি চুক্তি করায়। ফলে এখন সেফ প্যাসেজ হতে পারে বাংলাদেশ। তাই বাংলাদেশের ইউডিএফবি ক্যাডারদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হতে আগ্রহী হয়ে পড়েন পরেশ। শেষ পর্যন্ত গত ১৯ ডিসেম্বর তিনি বৈঠকেও মিলিত হন ক্যাডারদের সঙ্গে। তৈরি হয় পরিকল্পনা আসামে নতুন করে নাশকতা চালানোর।

পরিকল্পনা কিসের?

২০১৬‘তে আসামের নির্বাচনের প্রাক্ মুহূর্তে বড়সড় নাশকতা চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে উলফার স্বঘোষিত সেনাপ্রধানের। এজন্য তিনি কাজে লাগাতে চাইছেন ইউডিএফবি ক্যাডারদের। পরিকল্পপনা করা হয়েছে আগামী ৩ জানুয়ারির মধ্যে উলফার স্বঘোষিত সেনাপ্রধানের ইউডিএফবি ক্যাডার বাহিনীকে ঢোকানো হবে আসামের বিলাসী পাড়া এবং বড়পেটা এলাকায়। এরপরই সুযোগ বুঝে চালানো হবে নাশকতা। তবে এই গোপন বৈঠক সেরেই বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যান পরেশ।

বাংলাদেশে থাকার ঝুঁকি নেননি তিনি। কারণ- ইন্দো-বাংলাদেশ সুসম্পর্ক। বাংলাদেশের পুলিশ বা সামরিক বাহিনীর হাতে ধরা পড়ার আগেই তিনি চলে যান মিয়ানমারের গোপন ডেরায়। খুব সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন ওঠে বাংলাদেমের সীমান্ত রক্ষার দায়িত্বে থাকা বিজিবি’র ভুমিকা নিয়ে। বিজিবি’র সঙ্গে নানাভাবে যোগাযোগ রয়েছে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের, এমন কথাও এসেছে গোপন রিপোর্টে।

বিশেষ করে জেএমবি জঙ্গিগোষ্ঠীর প্রতি অনেক বিজিবি কর্তার কিঞ্চিৎ নরম মনোভাবও রয়েছে। ফলে বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত টপকে খুব সহজেই ভারতে ঢুকে পড়ছে তারা। নাশকতার ছক করছে পশ্চিমবঙ্গসহ গোটা ভারতে। জেএমবি জঙ্গিদের ভারতে গোপন ডেরা, অর্থনৈতিক সাহায্যসহ বিভিন্ন বিষয়ে মদত জোগাচ্ছে ১৯৭১ সালের পাক মদতপুষ্ট রাজাকার বাহিনীর আত্মগোপনকারী ১৫৭ জন কর্মী। এরা ভারতের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে বর্তমানে।

আসামের করিমগঞ্জ, কলকাতার মেদিনীপুর,২৪ পরগনা (উত্তর-দক্ষিণ), দিনাজপুর,অন্ধ্রপ্রদেশের পাচামপল্লী এলাকা,মহারাষ্ট্রের মূলবালা এলাকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে এই সব রাজাকাররা। ভারতে এরাই আল কায়দা এবং আইএসআইর ‘লিঙ্ক ম্যান’ হিসেবে কাজ করছে। গোটা বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের সচিবালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান খান গত ২১ ডিসেম্বর একটি গোপন রিপোর্টও পেশ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের কাছে।

এদিকে খবর রয়েছে, বাংলাদেশের কিছু পুলিশ কর্তা এবং শাসক দল আওয়ামী লীগের প্রথম সারির ক্যাডার পেয়েছেন আল কায়দার তরফে সরাসরি হুমকি। মুলত জামায়াতে ইসলামের লোকদের ওপর আক্রমনের প্রেক্ষিতেই এমন হুমকি।

বাংলাদেশে এখন আইএসআই এবং আলকায়দার মদদপুষ্ট যে সব জঙ্গি সংগঠন কাজ করছে সেগুলো হল আনসার-আল জিহাদ, জামাত এ ইসলাম, জামাত উল আরকান, হিজবুত তাওহিদ, হরকাতুল জিহাদ, হেফাজতে ইসলাম, জামায়াত এ তাহেরির, খেলাফত এ আসলাম এবং জামাতুল মুজাহিদিনি বাংলাদেশ। এই নয় সংগঠনের সঙ্গেই সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে আল কায়দা,আইএসআইএস এবং আইএস’র মত জঙ্গি সংগঠন ও সরকারি সংস্থার। যদিও বাংলাদেশের সরকার বরাবরই জোর গলায় বলছে তাদের দেশে কোনও জঙ্গি সংগঠন নেই। কিন্তু‘ বাস্তবে এই মৌলবাদী জঙ্গি সংগঠনই বাংলাদেশ সরকারের কাছে চরম অস্বস্তিকর বিষয়।” সুত্র: পার্বত্য নিউজ





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)