শুক্রবার ● ২৬ এপ্রিল ২০১৯
প্রথম পাতা » কৃষি » ধান ক্ষেতে ব্লাস্ট রোগ দিশেহারা কৃষক
ধান ক্ষেতে ব্লাস্ট রোগ দিশেহারা কৃষক
গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: ইরি-বোরো মৌসুমের শেষ সময় এখন। মাঠে মাঠে দোল খাচ্ছে সোনালী ফসল। আর ক’দিন পরেই ধান কাটার উৎসবে মেতে উঠবে চাষীরা। কৃষকদের চোখে-মুখে ফসল ঘরে তোলার আনন্দ হাসি। এ যেন প্রতিটি কৃষকের স্বপ্ন। কিন্তু কৃষকের সেই স্বপ্নে আগুন দিয়েছে ব্লাস্ট নামের এক প্রকার ছত্রাক রোগ। ধান ক্ষেতে ব্লাস্ট রোগের আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়েছে গাইবান্ধার কৃষকরা।
ধানের শীষ বের হওয়ার তিন-চারদিন পরই শীষগুলো মরে যাচ্ছে। ধানের পেটে কোনো চাল নেই। মনে হচ্ছে ধানগুলো পেকে গেছে। কাছে গিয়ে দেখা যায় শীষের সবক’টি ধানই চিটে। এতে কোন চাল নেই। সাধারণত ব্রি-২৮, ২৯ জাতের ধানে এ রোগটি বেশি আক্রমণ করেছে। কৃষকরা জানায়, ধানের চারা রোপণের কিছুদিন পর সবুজ পাতায় কালো দাগ দেখা দেয় এবং ধানের পাতা পচে যেতে থাকে। ওই সময় কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে ট্রাইসাইক্লাজোল উপাদানের ট্রুপার-৭৫ ডব্লিউ পি জাতীয় বিভিন্ন ছত্রাকনাশক স্প্রে করা হয়। প্রথম দিকে কিছুটা কমলেও পরে আবারও আক্রমনের শিকার হয় ফসল। কৃষকদের দাবি এ রোগ যদি দ্রুত নিয়ন্ত্রন করা না যায় তাহলে ইরি-বোরো উৎপাদন লক্ষমাত্রা অর্জন করা কোনভাবেই সম্ভব হবে না। স্থানীয় কৃষি অফিসের তত্বাবধানে ও পরামর্শ ও বিভিন্ন রকম কীটনাশক ব্যবহার করেও কোন কাজে আসছে না।
সরেজমিনে গাইবান্ধা সদর, গোবিন্দগঞ্জ, পলাশবাড়ি উপজেলার কিছু কিছু ক্ষেতে ও সবথেকে বেশি সাদুল্লাপুর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে ফসলে কম বেশি ব্লাস্ট রোগে আক্রান্তের চিত্র দেখা গেছে। এ যেন কৃষকের চোখের সামনেই ক্ষেতের সোনার ফসলগুলো ধীরে ধীরে পুড়ে যাচ্ছে। কৃষক মজনু মিয়া আক্ষেপ করে বলেন, বিদ্যুতের হাজার হাজার টাকা বিল দিয়া সেচ দিচ্ছি। টাকাও গেল, ধানও গেল। এখন আর কোনো আশা নাই।’
কৃষি কর্মকর্তা খাজানুর রহমান বলেন, সাধারণত ব্রি-২৮, ২৯ জাতের ধানে এ রোগটি বেশি আক্রমণ করেছে। কৃষকদের এ জাতের ধান রোপনে বার বার নিরুৎসাহীত করা হয়েছে এর পরিবর্তে ব্রি-৭২, ৫৮ রোপন করার জন্য বলা হয়। আক্রান্ত জমির ফসলে ট্রাইসাইক্লাজোল উপাদানের ট্রুপার-৭৫ ডব্লিউ পি, এমকোর, ব্লাস্টিং জাতীয় কীটনাশক স্প্রে করার পর নতুন করে এ রোগ আক্রমণ করার কথা নয়। কৃষি বিভাগের সমস্ত কর্মকর্তা কর্মচারির সার্বক্ষনিক মনিটরিং করছে এবং পরামর্শ প্রদান করছে। প্রায় ১০ হাজার লিফলেট সচেতনতার জন্য বিতরণ করা হয়েছে, যাতে আক্রন্ত হওয়ার আগেই ব্যবস্থা নিতে পারে কৃষক। সঠিক সময়ে ঔষধ প্রয়োগ করা হলে হয়তো আবাদি জমির ফসলগুলি নষ্ট হতো না। আমরা কৃষকদের এ রোগ প্রতিরোধ করার জন্য সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করছি।





আত্রাইয়ে পাট চাষে দিন দিন আগ্রহ হারাচ্ছেন কৃষকরা
কাউখালীতে কৃষি অধিদপ্তরের পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস অনুষ্ঠিত
কাউখালীতে জাতীয় ফল মেলা অনুষ্ঠিত
ঝালকাঠিতে আম বাগান হয়ে উঠেছে সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত
বাগেরহাটে লবণাক্ত পতিত জমিতে মাঠজুড়ে সূর্যমূখীর হাঁসি ঝিলিক
আত্রাইয়ে বেড়েছে পেঁয়াজের বীজ চাষ
শরীরের জন্য পুষ্টি, তাপ ও শক্তি যোগাতে পুষ্টিকর খাবারে কোনো বিকল্প নেই : মনিরুজ্জামান খান
ফটিকছড়িতে বোরো চাষে নারী শ্রমিকরা
রাউজানে সরিষা ক্ষেতে হলুদের হাতছানি
সুরাইয়া বিলকিসের বিষমুক্ত ছাদ বাগান