শিরোনাম:
●   পার্বত্য চট্টগ্রাম বড়ুয়া সংগঠনের মূখপাত্র নির্মল বড়ুয়া মিলনের জন্মদিনে বড়ুয়া নেতৃবৃন্দের শুভেচ্ছা ●   বিজয় মেলায় ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট অস্বস্তিতে দর্শনার্থীরা ●   ঝালকাঠিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস ●   সাভারে স্মৃতিসৌধে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ●   রাঙামাটিতে দৈনিক সবুজ বাংলার তৃতীয় বর্ষ উদযাপন ●   মহান বিজয় দিবসে রাঙামাটি জেলা পুলিশের শ্রদ্ধাঞ্জলি ●   কাউখালীতে মহান বিজয় দিবস উদযাপন ●   রাঙামাটিতে শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ এর সমাধিস্থলে বিজিবির শ্রদ্ধা ●   রাবিপ্রবি’তে যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘মহান বিজয় দিবস উদযাপন ●   রাঙামাটিতে মহান বিজয় দিবসে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির শ্রদ্ধাঞ্জলী ●   শুঁটকি উৎপাদনে ভাটা পড়েছে আত্রাইয়ের শুঁটকিপল্লী ●   ঈশ্বরগঞ্জে মৃত্যুশয্যায় বড় ভাইকে দেখতে এসে হামলার শিকার ●   ছাত্রদলের শাওন এর নেতৃত্বে রুফটপ রেস্টুরেন্টে ম্যানেজার গিরি দত্ত চাকমা’র ওপর হামলা ●   মাদ্রাসার এতিম ছাত্রদের মাঝে রাঙামাটি সদর জোন এর শীতবস্ত্র বিতরণ ●   গ্লোরি রেসিডেন্স হোটেল এর সফটওয়্যার লঞ্চিং এর উদ্বোধন ●   আত্রাইয়ে যথাযথ মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত ●   স্কাউট জাম্বুরী’তে যোগ দিতে ফিলিপাইন গমন করলো মিরসরাইয়ের রাহিম ●   সাংবাদিকতা সততা, নিষ্ঠা ও দায়িত্বশীলতার সাথে করতে হবে : বিএফইউজে সভাপতি ●   কাপ্তাইয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ●   ঈশ্বরগঞ্জে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত ●   নির্বাচন ও গণভোট বানচালে নানা অপতৎপরতা চলছে ●   তামাক নিয়ন্ত্রণ : বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতি পূরণে এগিয়ে বাংলাদেশ, আইন সংশোধনের দাবি ●   কাউখালীতে শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস উদযাপন ●   ঝালকাঠিতে জীবন সংকটে প্রতিবন্ধী রিমন ●   নবীগঞ্জে জমি থেকে সবজি ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার ●   ঝালকাঠিতে ওসমান হাদীকে গুলির প্রতিবাদে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ●   পার্বতীপুরে শরিফ ওসমান হাদিকে গুলির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ●   ডিসেস্বর মাস পতাকা বিক্রির মৌসুম ●   ঢাকায় পানাম গ্রুপের আনন্দ উৎসব ●   মিরসরাইয়ে ভাষা প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে ৬৩৩ জন শিক্ষার্থী
রাঙামাটি, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
বৃহস্পতিবার ● ১৪ জানুয়ারী ২০১৬
প্রথম পাতা » পাবনা » চাটমোহরের মৃত্‍ শিল্প বিলুপ্তির পথে
প্রথম পাতা » পাবনা » চাটমোহরের মৃত্‍ শিল্প বিলুপ্তির পথে
বৃহস্পতিবার ● ১৪ জানুয়ারী ২০১৬
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

চাটমোহরের মৃত্‍ শিল্প বিলুপ্তির পথে

---
ইকবাল কবীর রনজু :: সভ্যতার উষালগ্ন থেকে পুরাতন সভ্যতাকে পরাজিত করে নতুন নতুন সভ্যতা এসেছে৷ নতুন নতুন প্রযুক্তি মানুষের জীবন জীবিকায় পরিবর্তন এনেছে৷ কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, শিল্প, সাহিত্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিবর্তন সাধিত হচ্ছে৷ নিরবে নিভৃতে নতুন প্রযুক্তির কাছে হার মানতে মানতে চাটমোহরের প্রাচীন ঐতিহ্য মৃৎশিল্প আজ বিলুপ্তির পথে৷ প্রাচীন ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে পাবনার চাটমোহরের নিমাইচড়া ইউনিয়নের পাল পাড়া গ্রামের পাল সমপ্রদায়ের কিছু অভাবী মানুষ এখনো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন৷ সনাতনী পদ্ধতি আকড়ে ধরে, প্রাচীন ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে নিরন্তর চেষ্টা করে যাচ্ছেন তারা৷ এভাবে তারা বেঁচে থাকার পাশাপাশি মৃত প্রায় এ শিল্পটিকেও কোন মতে বাঁচিয়ে রাখছেন৷ তাই সৃষ্টির উল্লাসে খেয়ে না খেয়ে সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি কাদা মাটি দিয়ে তৈরী করে থাকেন হাড়ি, পাতিল, কলস, খাদা, চাড়ি, সড়া, মুছি, কড়াই, মুড়ি ভাজার পাতিল, তবাক, মাটির কোলা, জালা, চাড়ি, ঝাঁঝুড়, মাটির খেলনা, ব্যাংকসহ বিভিন্ন রকমের গৃহস্থালী সামগ্রী৷ চাটমোহর পৌর এলাকা থেকে প্রায় ৮ কিলমিটার দূরে করতোয়া নদীর পাড়ে পাল পাড়া গ্রামটির অবস্থান৷ কবে এ গ্রামের উত্‍পত্তি তা বলতে পারেন না কেউই৷ ২০/২৫ বছর আগে এ গ্রামে শতাধিক পাল পরিবারের বসতি থাকলেও এখন টিকে আছেন ৩৩ পরিবার৷ বাড়ি ছাড়া তাদের মাঠে কোন ফসলী জমি নেই৷ এ গ্রামের আকালু পালের ছেলে জীবন কুমার পাল (৪০) জানান, জ্ঞান হবার পর থেকে পৈত্রিক পেশা হিসেবে মৃৎশিল্পের কাজের সাথে সম্পৃক্ত তিনি৷ এ কাজে তার স্ত্রী অর্চণা রাণী (৩৫) তাকে সহায়তা করে থাকেন৷ বড় ছেলে কার্তিক উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছে এবং ছোট ছেলে রাজকুমার স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ছে৷ ঐতিহ্যবাহী এ শিল্পের প্রতিকূল অবস্থা সম্পর্কে তিনি জানান, এ শিল্পের অন্যতম প্রধান উপকরণ এঁটেল মাটি৷ কয়েক বছর আগেও ২০/২৫ ডালি এঁটেল মাটির দাম ছিল ৬০/৭০ টাকা৷ এখন তা কিনতে হয় প্রায় হাজার টাকায়৷ জ্বালানীর দাম ও বেড়েছে অপ্রত্যাশিত ভাবে৷ মানুষ এখন মাটির তৈরী পাত্রের বদলে সিলভারের হাড়ি পাতিল কিনতে ও ব্যবহার করতে বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ করছে৷ তাই ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও আমরা এ শিল্পটিকে টিকিয়ে রাখতে পারছি না৷ নরেশ কুমার পাল জানান, এ এলাকায় মাটির তৈরী বাসন পত্রের কদর নেই৷ ঢাকা, শাহজাদপুর, নগরবাড়িসহ বিভিন্ন এলাকার পাইকাররা এসে বাসনপত্র কিনে নিয়ে যায়৷ বিভিন্ন ফসলের মৌসুমে আমরা গ্রামে গ্রামে গাওয়াল করি৷ পরেশ চন্দ্র পাল (৬৫) জানান, মৃৎশিল্পের কাজ করে কোন মতে খেয়ে পরে জীবন পরিচালনা করছি৷ এ পেশায় ধ্বস নামায় পাল সমপ্রদায়ের অনেকে এখন পেশা পরিবর্তন করে অন্য পেশায় চলে গেছেন৷ রনজিত্‍ পাল (৪৬) জানান, জ্ঞান হবার পর থেকে এ কাজে সম্পৃক্ত আছি৷ ২৫ থেকে ৩০ রকমের জিনিষ পত্র তৈরী করি৷ একটি ভাটা পোড়াতে প্রায় ২ হাজার টাকার জ্বালানী প্রয়োজন হয়৷ উত্‍পাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় এবং ঐতিহ্যবাহী এ শিল্পটি জৌলুশ হারিয়ে ফেলায় কেবল পালপাড়া নয় চাটমোহরের বেলগাছি, হরিপুরসহ অন্যান্য এলাকার পালেদেরও মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে৷ সামপ্রদায়িক সমপ্রীতি বজায় থাকলেও পেশায় সুবিধা করতে না পারায় অনেকে রাতের আঁধারে দেশ ত্যাগ করছেন৷ গত কয়েক বছরে পালপাড়া ও বেলগাছির অনত্মত ৫০ পরিবার দেশ ত্যাগ করেছেন৷ তিনি আরো জানান, ৩০/৪০ বছর পূর্বে চাটমোহরে প্রায় সহস্রাধিক পরিবার এ পেশায় ছিল৷ এখন এ সংখ্যা কমে এক পঞ্চমাংশে নেমে এসেছে৷ আমাদের ছেলেরা এখন পড়া লেখা করছে৷





আর্কাইভ