বৃহস্পতিবার ● ২৮ এপ্রিল ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » ঝিনাইদহে স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামী নির্যাতনের অভিযোগ
ঝিনাইদহে স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামী নির্যাতনের অভিযোগ
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহে স্ত্রী খাদিজা খাতুনের বিরুদ্ধে স্বামী আবু সাইদের উপর অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ৷ নির্যাতন করায় সম্প্রতি সময়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ হয়ে যায়৷ এরপর স্ত্রী বাদি হয়ে স্বামীসহ তার শশুর-শাশুড়িকে আসামী করে মাগুরা আদালতে একের পর এক হয়রানি মুলক মামলা দায়ের করছে ৷ মামলা করার পর দুলাভাই ফারুক হুসাইনকে দিয়ে বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি প্রদর্শন ও জীবনাশের হুমকিসহ ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়েছে ৷
এঘটনায় স্বামী আবু সাইদ জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি জিডি করে(জিডি নং-২০৪,০৫-০৪-১৬ইং)৷ ভুক্তভোগী বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ৷
জানা গেছে, ২০১০ সালের ১০ সেপ্টেম্বর পারিবারিক ভাবে যশোর জেলার বাঘারপাড়া উপজেলার যাদবপুর গ্রামের ইউনূছ আলী মোল্লার ছেলে আবু সাইদ স্থানীয় টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড বিএম কলেজে চাকুরিরত অবস্থায় মাগুরা জেলার শালিকা উপজেলার কুমারকোটা গ্রামের মৃত তোতা মিয়া বিশ্বাসের মেয়ে খাদিজা খাতুনকে বিয়ে করেন ৷
বিয়ের পর কিছুদিন যাবত্ মিলেমিশে তারা ঘর সংসার শুরু করে৷ এরই মাঝে একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরি হওয়ার পর ঝিনাইদহ পোস্টিং হয় ৷ স্বামী-স্ত্রী ও তাদের একটি পুত্র সন্তান আবু উবায়দা(৪) কে নিয়ে ঝিনাইদহ শহরের কাঞ্চননগর পাড়ায় বসবাস করতে থাকে৷ এরই মাঝে দুলাভাই ফারুক হুসাইনের কুপ্রচারনায় স্ত্রী তার স্বামীর উপর অমানবিক নির্যাতন শুরু করে৷ স্ত্রী তার স্বামীকে বলতে থাকে দুলাভাই ফারুক মাগুরা ইনকাম ট্যাক্স অফিসে নাইট গার্ডের চাকুরি করে শেখপাড়া গ্রামে বিলাস বহুল বাড়ি ও একের পর এক জমি ক্রয় করছে৷ তুমি পারনা কেন ? তখন স্বামী স্ত্রীকে বলে আমিতো কোন দুর্নীতি করিনা এবং তোমাকে বাড়ি-গাড়ির করে দিতে পারবো না৷ প্রায় সময়ে সন্তানকে বাসায় ফেলে কয়েকবার পিতার বাড়িতে চলে যায়৷
সর্বর্শেষ ২০১৫ সালের ২৫ ডিসেম্বর সন্তান বাসায় রেখে পিতার বাড়িতে চলে যায় স্ত্রী৷ এসময় স্ত্রীর নির্যাতনের জ্বালা সইতে না পেরে একতরফা কোর্টের মাধ্যমে তালাক এবং খোরপোষ ও কাবিনের টাকা পরিশোধ করে দেয় স্বামী আবু সাইদ৷ পরবর্তীতে কোর্টের মাধ্যমে পিতার কাছ থেকে ছেলে আবু উবায়দাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং ১০ লাখ টাকা না দিলে ছেলে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী আবু সাইদ ৷