শিরোনাম:
●   প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সাথে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির বৈঠক ●   পার্বতীপুরে শ্লীলতাহানির অভিযোগে, সন্ধানী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানীর ডিজিএম গ্রেপ্তার ●   মিরসরাই আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন নুরুল আমিন ●   কুষ্টিয়া গণপূর্ত অফিসেই ১৮ বছর’ আ’লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নে ব্যস্ত অনুপ কুমার সাহা ●   চিৎমরম বৌদ্ধবিহারে কঠিন চীবর দানোৎসব সম্পন্ন ●   বেণুবন উওমানন্দ ধর্মবন বৌদ্ধ বিহারে কঠিন চীবর দানোৎসব ও সংবর্ধনা ●   প্রেমের টানে পাকিস্থানি তরুণী বাংলাদেশে ●   আগামীকাল ৪ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনের সাথে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎকার ●   ঝালকাঠি-২ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন ইলেন ভুট্টো ●   বনরূপা ব্যবসায়ী সমিতির নতুন কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ ●   দিনাজপুর-৫ মনোনয়ন প্রত্যাশী নূরুল হুদা বাবু’র সাংবাদিকদের সঙ্গে নির্বাচনী মতবিনিময় ●   কাপ্তাইয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শনে বিভাগীয় কমিশনার জিয়াউদ্দিন ●   বাজুস এর নতুন সভাপতি নির্বাচিত হলেন এনামুল খান দোলন ●   বাজুস এর নতুন সহ-সভাপতি হলেন ইকবাল হোসেন চৌধুরী ●   পার্বত্য চট্টগ্রাম বড়ুয়া সংগঠনের ১৫ সদস্য বিশিষ্ট রাঙামাটি পৌরসভার ০৮ নং ওয়ার্ড কমিটি পূর্ণগঠন ●   মুসমানের সেকুলারিজম হওয়ার কোন সুযোগ নেই ●   ভোটে কোটি টাকা খরচকারীদের চক্র ভাঙ্গতে হবে : ব্যারিস্টার ফুয়াদ ●   রাজাভুবন বিদ্যালয় পরিদর্শনে হুমাম কাদের চৌধুরী ●   মিরসরাইয়ে পারিবারিক কলহের জেরে বড় ভাইয়ের হাতে ছোট ভাই খুন ●   বেতবুনিয়া সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু ●   তীরে এসে তরি ডোবাবেন না : সাইফুল হক ●   ঈশ্বরগঞ্জে মাদক ও সন্ত্রাসবিরোধী মামলার আসামিসহ গ্রেফতার-৬ ●   আত্রাইয়ে ৫৪ তম জাতীয় সমবায় দিবস উদযাপন ●   বৃহত্তর বনরূপা ব্যবসায়ি কল্যাণ সমবায় সমিতি এর শুভেচ্ছা বিনিময় ●   কাপ্তাইয়ে জাতীয় সমবায় দিবস পালন ●   কাউখালীতে ৫৪ তম জাতীয় সমবায় দিবস পালন ●   পাচারকালে ১ হাজার ৯শত পিস ইয়াবাসহ মিরসরাইয়ে গ্রেফতার-২ ●   রাঙ্গুনিয়ায় শ্রমিক নেতাকে হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে মানববন্ধন ●   ঈশ্বরগঞ্জে চা বিক্রেতাকে পিটিয়ে টাকা ছিনিয়ে নিল মাদকচক্র ●   কাপ্তাইয়ে সাপছড়ি বৌদ্ধ বিহারে কঠিন চীবর দান উৎসব সম্পন্ন
রাঙামাটি, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
শুক্রবার ● ১৬ ডিসেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » হাছিনা পাগলীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » হাছিনা পাগলীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ
শুক্রবার ● ১৬ ডিসেম্বর ২০১৬
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

হাছিনা পাগলীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ

---

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: (২ পৌঁষ ১৪২৩ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭.৩০মি.) একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের কথা তুলতেই হাউমাউ করে কেঁদে উঠলেন পাগলী। হাছিনা পাগলী। এ নামেই পরিচিত সবার কাছে। সেই যুদ্ধের সময় থেকেই। পাগলী হলেও অনেক মুক্তিযোদ্ধার প্রাণ বাঁচিয়েছেন নানান কৌশলে। অনেক সময় পাকসেনাদের আসার খবর জানিয়ে। অনেকসময় নিজের নিরাপত্তা ও সম্ভ্রমের কথা না ভেবে।

ঝিনাইদহের মহেশপুরের যাদবপুর যুদ্ধে অংশে নেওয়া মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান বাজারের মধ্যে থেকে ধরে নিয়ে এলেন পাগলীকে। বসালেন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড অফিসের বারান্দায়। বাজার সংলগ্ন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের ক্যাম্পের সামনেই তার নিত্য আবাস। ঠিক পাশেই বেতনা নদী, যেখানে সংগঠিত হয়েছিল যাদবপুরের সবচেয়ে বড় যুদ্ধ। হাসিনা এ জায়গাটাতে থাকতেই পছন্দ করেন ৪৫ বছর ধরে।

পারিবারিক নানান কারণে যুদ্ধের আগ থেকেই হাসিনা ছিলেন মানসিক ভারসাম্যহীন। কাজে-কথায় সংগতি না থাকায় যাদবপুর বাজারের লোকজন তাকে হাছিনা পাগলী নামেই ডাকে। কমবেশি তাদেরই সাহায্য সহযোগিতায় বেঁচে আছেন পাগলী। সম্প্রতি তার জন্য বয়স্কভাতার ব্যবস্থা করেছেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা।

পাগলীর হুঁশ না থাকলেও দেশের স্বাধীনতার কথা হয়তো তিনি বুঝতেন। না হলে কেনই বা মুক্তিযোদ্ধাদের বাঁচাবেন! এখনও তিনি যাদবপুরের মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে শ্রদ্ধার পাত্রী। অনেকবার তাকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি উঠলেও বিভিন্ন কারণে তা আর হয়ে ওঠেনি।

জিজ্ঞেস করতেই মুক্তিযুদ্ধের কথা, সায়েদকে বাঁচানোর চেষ্টার কথা অকপটে বলে কাঁদতে লাগলেন অঝোরে। উগরে দিলেন একরাশ কষ্ট। যুদ্ধের দিন ছিল মঙ্গলবার। ২২ সেপ্টেম্বর, নদীতীরবর্তী গ্রাম যাদবপুর। দক্ষিণে তিন কিলোমিটারের মতো এগোলেই ভারতের সীমান্তবর্তী গ্রাম মধুপুর। এপারে গোপালপুর। পুবে ধান্যবাড়িয়া। মহেশপুর দিয়ে সর্পিল গতিতে এঁকেবেঁকে ভারতের বনগাঁয় ঢুকেছে বেতনা। যুদ্ধ হয় বেতনার দু’পারেই।

সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চলে যুদ্ধ। পাকিস্তানিদের চারদিক দিয়ে আক্রমণে শেষ পর্যন্ত পিছু হটতে বাধ্য হয় মুক্তিবাহিনী। বেতনা নদীতীরের সেই দীর্ঘ যুদ্ধে প্রাণে বাঁচতে কচুরিপানা ভরা নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েন মুক্তিযোদ্ধা মো. সায়েদ আলী। মাথায় পরা ছিলো হেলমেট। হাতে ছিল এলএমজি। এলএমজিটি আগে ফেলে দেন পানিতে। তারপর ঝাঁপিয়ে পড়েন নিজে। কিন্তু রাজাকার ও পাকিস্তানি সেনারা বিষয়টি বুঝতে পারে।

খোঁজ করতে থাকে সায়েদ আলীর। একপর্যায়ে তারা সিদ্ধান্ত নেয় পাগলী হাসিনাকে পানিতে নামিয়ে খোঁজার। কারণ ওই এলাকায় সবসময় পাওয়া যেত তাকে। পাগলীকে পানিতে নামিয়ে কেউ আছে কিনা খুঁজতে বলে। হাঁটুপানিতে নেমেই হাতড়ে সায়েদ আলীর মাথার ছোঁয়া পান পাগলী। তাৎক্ষণিক পাগলী তার পরনের সাদা ধুতির মতো শাড়ির নিচে লুকিয়ে ফেলেন সায়েদকে। বলেন, ‘এখানে কেউ নেই। তোমরা চলে যাও।’

কিন্তু পানির নড়চড়া দেখে সন্দেহ হয় রাজাকারদের। কিন্তু হাসিনা তাদের বোঝাতে থাকেন এখানে কেউ নেই। রাজাকাররা একটু সরে গেলে হাসিনাও উঠে পড়েন পানি থেকে। তখন সায়েদ ডুব দিয়ে দূরে সরে যাচ্ছিলেন।

এমন সময় রাজাকাররা আবার উঁকি দিয়ে দেখতে পায় সায়েদকে। গুলি করতে উদ্যত হলে সায়েদ হাত উঁচিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে। সেখানে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয় তিনমাস। পরে ডিসেম্বরের প্রথম দিকে মিত্রবাহিনী যখন বিমান হামলা শুরু করে তখন কারাগারে আটক অন্যদের মতো সায়েদও কারাগার ভেঙে মুক্ত হন।

পাগলী হাসিনা যেভাবে শাড়ির নিচে লুকিয়ে সায়েদকে প্রাণে বাঁচিয়ে দিলেন তা অনেকটা নোবেল সাহিত্য পুরস্কারজয়ী জার্মান ঔপন্যাসিক গ্যুন্টার গ্রাসের ধ্রুপদী উপন্যাস ‘টিন ড্রাম’ কাহিনির সঙ্গে হুবহু মিলে যায়। সেখানে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কাহিনি বর্ণনা করতে গিয়ে গ্রাস নাৎসীদের তাড়া খাওয়া এক বিপন্ন ইহুদির কথা বলেছেন। যে মাঠের উপর দিয়ে পালাচ্ছিল। এসময় মাঠে একা একা আলু পুড়ে খাচ্ছিল এক পাগলী। সেও বুদ্ধি করে নিজের লম্বা গাউনের নিচে আশ্রয় দিয়ে ইহুদিকে বাঁচিয়ে দিয়েছিল। ইহুদিটা পালিয়ে গেছে মনে করে ফিরে গিয়েছিল নাৎসী সেনারা।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই হাসিনা পাগলীকে নিয়মিত সাহায্য সহযোগিতা করেন বর্তমানে কুয়েত প্রবাসী সায়েদ আলী। পাগলী তাকে দেখলে বলেন, ‘তুই আমার ছেলে নাহ!’একই যুদ্ধে পায়ে গুলি লেগে আহত হওয়া খলিলুর রহমান, মো. আব্দুর রহমানও জানেন সেদিনের ঘটনা। পাগলীকে তাই শ্রদ্ধা করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী মুক্তিযোদ্ধাদের ভাষ্যমতে, পাগলী ওইসময় নিয়মিত এ এলাকায় ঘুরে বেড়াতো। সবসময় থাকতো পথে ঘাটে। কখনও খবর দিতো পাকিস্তানিরা আসছে বলে। আর গুলির খোসা কুড়ানো ছিল তার কাজ। ঘুরে ঘুরে সংগ্রহ করতেন। তবে আশ্চর্যের ব্যাপার, যুদ্ধের সময় এতো গোলাগুলি তার আশপাশ দিয়ে চলে গেছে, তবু সেসব তার গা ভেদ করেনি।





খুলনা বিভাগ এর আরও খবর

কুষ্টিয়া গণপূর্ত অফিসেই ১৮ বছর’ আ’লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নে ব্যস্ত অনুপ কুমার সাহা কুষ্টিয়া গণপূর্ত অফিসেই ১৮ বছর’ আ’লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নে ব্যস্ত অনুপ কুমার সাহা
কুষ্টিয়া সিভিল সার্জনে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে দুদক কুষ্টিয়া সিভিল সার্জনে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে দুদক
ঝিনাইদহে দীর্ঘ ২৩ বছর পর পৈত্রিক জমি ফিরে পেলেন সাবেক প্রকৌশলী ঝিনাইদহে দীর্ঘ ২৩ বছর পর পৈত্রিক জমি ফিরে পেলেন সাবেক প্রকৌশলী
চুয়াডাঙ্গার শিক্ষা প্রকৌশলী কমিশন বাণিজ্যে গড়েছেন সম্পদের পাহাড় চুয়াডাঙ্গার শিক্ষা প্রকৌশলী কমিশন বাণিজ্যে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়
কুষ্টিয়ায় হাসপাতালের পুকুর থেকে যুবতীর লাশ উদ্ধার কুষ্টিয়ায় হাসপাতালের পুকুর থেকে যুবতীর লাশ উদ্ধার
কুষ্টিয়ায় বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত কুষ্টিয়ায় বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত
কুষ্টিয়া চেম্বারের ‘এ’ গ্রুপের পরিচালক পদে নির্বাচন সম্পন্ন কুষ্টিয়া চেম্বারের ‘এ’ গ্রুপের পরিচালক পদে নির্বাচন সম্পন্ন
জাকির এর উদ্যোগে কুষ্টিয়া শহর নতুন রূপে সেজেছে জাকির এর উদ্যোগে কুষ্টিয়া শহর নতুন রূপে সেজেছে
কুষ্টিয়ার আদালতে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে পালাল নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কুষ্টিয়ার আদালতে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে পালাল নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ
ফারাক্কার বিরূপ প্রভাবে কুষ্টিয়ার ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি ফারাক্কার বিরূপ প্রভাবে কুষ্টিয়ার ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি

আর্কাইভ