

বৃহস্পতিবার ● ৩ জুলাই ২০২৫
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » চুয়েটে পুরকৌশল বিভাগের সেমিনার অনুষ্ঠিত
চুয়েটে পুরকৌশল বিভাগের সেমিনার অনুষ্ঠিত
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এ পুরকৌশল বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত “অপারেশনাল চ্যালেঞ্জেস এন্ড ইউজার এক্সপেরিয়েন্স অব ঢাকা মেট্রো রেলঃ লেসন ফর ইমার্জিং আরবান ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৩ জুলাই বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টায় চুয়েটের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া । সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়েটের সাবেক ভাইস-চ্যান্সেলর ও চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম এবং পুর ও পরিবেশ কৌশল অনুষদের ডীন (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. আসিফুল হক।
এতে রিসোর্স পার্সন ছিলেন ঢাকা মেট্রোরেল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার ফারুক আহমেদ। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন পুরকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. আয়শা আখতার। এতে সঞ্চালনা করেন পুরকৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোছাঃ মুক্তা বানু।
চুয়েটে পুরকৌশল বিভাগের ১৯ ব্যাচের বিদায়ী অনুষ্ঠান সম্পন্ন
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া বলেছেন, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং একটি সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ ক্ষেত্র। উন্নত বিশ্বের মত বাংলাদেশেও এর চাহিদা বাড়ছে। টেকসই উন্নয়ন, স্মার্ট শহর, এবং পরিবেশ-বান্ধব অবকাঠামোর উপর জোর দেয়ার কারণে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা ভবিষ্যতে আরও বাড়বে। নতুন প্রযুক্তি এবং উপকরণ ব্যবহারের ফলে এই ক্ষেত্রে সুযোগ আরও প্রসারিত হবে। বাস্তবধর্মী গবেষণা না করে কাজ করলে বিভিন্ন বাধার মুখোমুখি হতে হবে যা সমাধান করা কঠিন হয়ে পড়বে। তাই যেকোন প্রকল্প বা কাজে আগাতে হলে সঠিকভাবে ফিজিবিলিটি স্টাডি করতে হবে। যাতে তরুণ প্রকৌশলীরা তাদের ভবিষ্যৎ কর্মজীবনের পথচলা সুন্দর ও সমৃদ্ধ হয়।
আজ ৩ জুলাই বৃহস্পতিবার চুয়েটের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে পুরকৌশল বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত ১৯ ব্যাচের বিদায়ী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুর ও পরিবেশ কৌশল অনুষদের ডীন (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. আসিফুল হক, চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল ইসলাম, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী ফারুক আহমেদ। এতে আরও বক্তব্য রাখেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ও পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মইনুল ইসলাম। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. আয়শা আখতার। এতে সঞ্চালনা করেন পুরকৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোছাঃ মুক্তা বানু।
চুয়েটে ইইই বিভাগের সেমিনার অনুষ্ঠিত
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া বলেছেন, প্রযুক্তির অগ্রগতিতে আমাদের ভবিষ্যত করণীয় বিষয়ে অনেক দিক-নির্দেশনা মিলবে। ৬জি (ষষ্ঠ প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি) ৫জি (পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি) এর চেয়ে দ্রুতগতির এবং আরও উন্নত পারফরম্যান্স প্রদান করবে বলে আশা করছি। উভয় প্রযুক্তির মূল পার্থক্য হলো ফ্রিকোয়েন্সি এবং ডেটা ট্রান্সফারের গতি। ৬জি তুলনামূলকভাবে ৫জি এর চেয়ে বেশি ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করে অনেক বেশি গতি এবং কম ল্যাটেন্সি (ডেটা আদান প্রদানে কম সময়) প্রদান করবে।
তিনি তরুন শিক্ষার্থী ও গবেষকদের আহবান জানিয়ে বলেন, জ্ঞান ও গবেষণার মাধ্যমে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের প্রকৌশলীরা যেন বাস্তবিক গবেষণার মাধ্যমে ভবিষ্যতে বাংলাদেশে ৫জি প্রযুক্তির সফল বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে পারেন এবং ৬জি বাস্তবায়নের পথ প্রশস্ত করেন এটাই আমার প্রত্যাশা।
আজ ৩ জুলাই বৃহস্পতিবার চুয়েটের আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরের মিলনায়তনে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত “রিসার্চ চ্যালেঞ্জেস বেয়ন্ড ৫জি এন্ড ৬জি সিস্টেমসঃ এডভান্সিং টুওয়ার্ডস মিনিংফুল সোসাইটাল ইম্প্যাক্ট” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. কাজী দেলোয়ার হোসেন। এতে রিসোর্স পার্সন ছিলেন সুইডেন এর চালমার ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি এর সহযোগী অধ্যাপক ড. আশরাফ-উজ-জামান। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ এর বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. তোফায়েল আহমেদ। এতে সঞ্চালনা করেন ইইই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. জয় প্রকাশ চক্রবর্তী।