শিরোনাম:
●   সাবেক এমপি শেখ সুজাতের উপর হামলা : অস্ত্রসহ হামলাকারী আটক ●   মিরসরাইয়ে বিদ্যুৎ স্পর্শে প্রাণ গেলো ব্যবসায়ী অহিদুন্নবী’র ●   মে দিবসে সবাই শ্রমিকের পক্ষে বলে, কিন্তু তাদের অধিকার দেয়না ●   গাবতলীতে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসে আলোচনা সভা ●   দেশকে কল্যাণমুখী রাষ্ট্র গড়তে দ্রুত জাতীয় নির্বাচন চায় বিএনপি : খায়রুজ্জামান ●   রাজনৈতিক দলসমূহের সাথে বোঝাপড়া ছাড়া করিডর প্রদানের উদ্যোগ থেকে সরকারকে সরে আসতে হবে ●   রাঙ্গুনিয়াতে দুর্বৃত্তের আগুনে মুরগির খামার পুড়ে ৪৫ লাখ টাকার ক্ষতি ●   ঈশ্বরগঞ্জ প্রেসক্লাবের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ●   মাদক আশক্ত সন্তান তার পিতা মাতার উপর হামলা ●   জরুরী অবস্থাতেও নাগরিকদের গণতান্ত্রিক অধিকার স্থগিত করা যাবেনা ●   ঝালকাঠিতে আম বাগান হয়ে উঠেছে সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত ●   নবীগঞ্জে পলাতক আসামী গ্রেফতার ●   জনশুমারি ও গৃহগণনায় বড়ুয়া জনগোষ্ঠীর নাম সংযুক্ত করার আবেদন ●   ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ এর ফেলোগণদের সাথে রাঙামাটিতে মতবিনিময় সভা ●   রাবিপ্রবি’তে পেশাদারিত্ব বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত ●   ফটিকছড়িতে শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগে তিন শিক্ষক গ্রেফতার ●   নিরাপদ ভোজ্যতেল প্রাপ্তির বাধা দূর করতে হবে ●   ঝালকাঠিতে সুগন্ধা নদী থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার ●   রাঙ্গুনিয়াতে আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে সচেতনতা মুলক ক্যাম্পেইন ●   কাউখালীতে ১১টি ভারতীয় গরু আটক ●   বেতবুনিয়ায় পিকাপ ভ্যান সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষ নিহত- ৫ আহত- ২ ●   বিভক্তি বিভাজনের পথে গণঅভ্যুত্থানের অর্জন বিসর্জন দেয়া যাবেনা- সাইফুল হক ●   রাঙামাটিতে জমকালো আয়োজনে শুরু হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট ●   তথ্য চাওয়ায় মসিকের প্রকৌশলী কর্তৃক সাংবাদিকদের গালাগালি ●   সাংবাদিক কামরুজ্জামানের সুস্থতা কামনা করেছে জাতীয় মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম ●   রাঙামাটির কাউখালীতে মারমা নারী ধর্ষণের ঘটনায় মূল আসামী ফাহিম চট্টগ্রামে গ্রেপ্তার ●   স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় জিডি করেছেন খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ●   পর্বতারোহী প্রকৌশলী কাওছার রূপক-কে জাতীয় পতাকা হস্তান্তর ●   জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অলাভজনক করতে পারলে নির্বাচনে ইদুর দৌড় অনেক খানি বন্ধ করা সম্ভব ●   পারভেজ হত্যার প্রতিবাদে রাঙামাটি সরকারি কলেজ ছাত্রদলের বিক্ষোভ
রাঙামাটি, শুক্রবার, ২ মে ২০২৫, ১৯ বৈশাখ ১৪৩২



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
বুধবার ● ১৭ অক্টোবর ২০১৮
প্রথম পাতা » কৃষি » ঝিনাইদহ কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা পড়ালেখার পাশাপাশি এখন নিজেরাই কৃষক
প্রথম পাতা » কৃষি » ঝিনাইদহ কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা পড়ালেখার পাশাপাশি এখন নিজেরাই কৃষক
বুধবার ● ১৭ অক্টোবর ২০১৮
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ঝিনাইদহ কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা পড়ালেখার পাশাপাশি এখন নিজেরাই কৃষক

---ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: (২ কার্তিক ১৪২৫ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১০.০৩মি.) ঝিনাইদহ কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা পড়ালেখার পাশাপাশি ফসল উৎপাদন করে অনন্য নজীর সৃষ্টি করেছেন। ২০১৩ সালে এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকেই শিক্ষার্থীদের মাঝে এই প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটিতে ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন। শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ার পাশাপাশি কীটনাশকমুক্ত ফসল উৎপাদনে যুক্ত হয়েছেন। তাদের এই সফলতা কৃষি বিভাগ গ্রহণ করেছে। জানা গেছে, ২০০৬ সালে ঝিনাইদহে ২১ দশমিক ৩৮ একর জমির ওপর এ কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি গড়ে তোলা হয়। এ কেন্দ্রে তিনটি ভবনে ১০টি শ্রেণীকক্ষ, পাঁচটি ল্যাবরেটরি, একটি লাইব্রেরি, একটি সভাকক্ষ, শিক্ষার্থীদের হোস্টেল, অধ্যক্ষের বাসভবন, গুদামঘরসহ আরো কিছু ভবন রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির চারদিকে প্রাচীর দিয়ে ঘেরা। রয়েছে বড় একটি মাঠ। সংশি¬ষ্ট সূত্রে জানা যায়, এ প্রতিষ্ঠানের উপ-সহকারী প্রশিক্ষক মো. নাজিম উদ্দিন শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার পাশাপাশি ক্যাম্পাসের পরিত্যক্ত জমিতে ফসল উৎপাদনের উদ্যোগ নেন। শিক্ষার্থীরা যাতে কৃষিকাজের বাস্তব জ্ঞানসহ উৎপাদিত ফসল ভোগ করতে পারেন। এ ভাবনা থেকে শিখি-করি-খাই (শিকখা) কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়। এ কাজে সফলতাও ধরা দিয়েছে। তাদের এ কর্মসূচি এখন কৃষি বিভাগ মডেল হিসেবে গ্রহণ করেছে। দেশের সব কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এ পদ্ধতি চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইনস্টিটিউটের একাধিক শিক্ষার্থী জানান, শিক্ষক নাজিম উদ্দিনের পরিকল্পনা মোতাবেক তারা ২০১৩ সালে ৩৬ জন শিক্ষার্থী নিয়ে প্রথম এ কার্যক্রম শুরু করেন। ক্যাম্পাসের মধ্যে পরিত্যক্ত ৬০ শতক জমি পরিষ্কার করে আবাদযোগ্য করেন। কঠোর পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে জৈব পদ্ধতিতে করা হচ্ছে সবজি চাষ। তারা সারা বছর উৎপাদিত সবজি খাচ্ছেন। বর্তমানে আবাদী জমির পরিমান দাড়িয়েছে ১৬ একরে। চাষ করা হচ্ছে ৬০ প্রকার ফসল। কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে ছেলেমেয়েরা কাজ করছে ফসলের ক্ষেতে। পড়ালেখার পাশাপাশি শিখছে হাতে কলমে কৃষিকাজ। আর তাঁদের উৎপাদিত সবজি নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বাজারেও বিক্রি করছেন তারা। এখানে উৎপাদন করা হচ্ছে, ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, মুলা, গাজর, লালশাক, পালংশাক, ব্রকলি, ড্রনফুট্রস, পুদিনা, ধনেপাতা, চায়না কেটেজ, শালগম, ওলকপি, মটরসুটি, গম, সয়াবিন, ভুট্টা, রসুনসহ ৬০ প্রকার সবজি। এছাড়াও পালন করা হচ্ছে হাস, টার্কি মুরগি, মাছ, গরু ও কবুতর। সবজির জন্য জমি তৈরি, বীজ বপন, চারা রোপণ, সার প্রয়োগ, পানি ব্যবস্থাপনা, রোগ ও পোকা দমনসহ ফসল তোলার পর বাজারজাতকরণ পর্যন্ত শিক্ষার্থীরাই করেন। শিক্ষার্থীরা আরো জানান, ২০১৪ সালের অক্টোবরের আগ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি প্রকল্পভুক্ত ছিল। অক্টোবরে রাজস্ব খাতভুক্ত হয়। তাদের এ কর্মসূচিতে আরো গতি আসে। কর্মসূচির নামকরণ করা হয় শিখি-করি-খাই (শিকখা)। এখন ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী শিক্ষার পাশাপাশি ফসল উৎপাদনে যুক্ত রয়েছেন। তাদের উৎপাদিত ফসল বিক্রি হচ্ছে। ওই টাকায় কৃষির নানা উপকরণ কেনা হচ্ছে। সবজি ক্রেতা মুশফিকুর রহমান জানান, প্রতিনিয়ত তিনি এখান থেকে সবজি ক্রয় করেন। এখানে বাজার মুল্যে থেকে কম দামে সবজি কেনা যায়। এছাড়াও এখানে জৈব পদ্ধতিতে উৎপাদিত সবজি বিক্রয় করা হচ্ছে বলে তার আগ্রহ বেশি। মাগুরা হর্টিকালচার সেন্টারের উদ্যানতত্ববিদ ড. খান মো: মনিরুজ্জামান বলেন, ঝিনাইদহ এটিআই দেশের কৃষি বিভাগে একটি মডেল। তার কর্মস্থল থেকে স্বল্প মুল্যে বিভিন্ন সবজি ও ফলের চারা কলম এখানে সরবরাহ করা হচ্ছে। এছাড়ার প্রায়ই এখানে পরিদর্শণ করে পরামর্শ প্রদাণ করেন। তিনি বলেন, সরকার এ মডেল অনুসরণ করলে দেশের কৃষিতে বিপ্লব ঘটবে। এ কর্মসূচির উদ্যোক্তা প্রশিক্ষক নাজিম উদ্দিন জানান, সাধারণত দেশের কৃষি প্রতিষ্ঠানগুলোয় অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে কৃষিকাজ দেখানোর জন্য বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। পোকা দমন ও চাষপদ্ধতি দেখানো হয়। শিক্ষার্থীরা যাতে পড়ালেখার পাশাপাশি সারা বছরই উৎপাদনে অংশ নিতে পারেন, এ ভাবনা থেকে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। ইনস্টিটিউটের পুকুরে মাছ চাষ করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস পরিছন্নতা, উন্নয়ন ও বৃক্ষরোপণ করেছেন। প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল কাদের যোগদান করার পর থেকেই এ কাজের পরিধি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেন, এ কার্যক্রমের মাধ্যমে যাতে শিক্ষার্থীরা কৃষিক্ষেত্রে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে উঠতে পারে, সে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরা ফসল উৎপাদনসহ বাজারজাতকরণ পর্যন্ত শিক্ষালাভ করতে পারছেন। ভবিষ্যতে সবজি বিক্রির অর্থ দিয়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাসফর ও টিউশন ফি পরিশোধের পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি বলেন, এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিগত কোন প্রশিক্ষণ দেওয়া যাচ্ছে না। কারণ এখানে ট্রাক্টর, পাওয়ার টিলার, ক্রম মেশিনসহ নেই কোন আধুনিক প্রযুক্তি। সরকার যদি এ চাহিদা মেটাতো তাহলে শিক্ষার্থীরা আরও ভালোভাবে প্রযুক্তি জ্ঞান আহরণ করতে পারতো। তিনি আরো জানান, শিখি-করি-খাই এ কর্মসূচি এখন কৃষি বিভাগের কাছে একটি মডেল হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)