শিরোনাম:
●   জুলাই সনদের পর জাতীয় নির্বাচন নিয়ে তালবাহানার কোন অবকাশ নেই ●   ঈশ্বরগঞ্জে মামলা দায়েরের ৪৮ দিন পর ধর্ষক গ্রেফতার ●   পঞ্চাশ বছর ধরে ভোগাচ্ছে একটি রাস্তা : কচুগাছ রোপণ করে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ ●   ই-সিগারেট কারখানা স্থাপনের অনুমোদন না দেয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে প্রজ্ঞা-আত্মা ●   বিদ্যুৎ পৃষ্ঠ হয়ে কাতারে রাঙ্গুনিয়ার এক প্রবাসীর মৃত্যু ●   পার্বতীপুরে জুয়ার আসরে যৌথবাহিনীর অভিযানে গ্রেফতার-২৩ ●   রাউজানে বিএনপির দুই নেতার সহিংসতা তদন্তে কেন্দ্রীয় কমিটি ●   চাঁদপুরে ৪৮ বছর পূর্বে প্রতিষ্ঠিত মাদরাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অবহেলীত ●   জীবন ইয়ুথ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ ●   পাঁচ শতাধিক ইয়াবাসহ দুই যুবক আটক করে ডিবি ●   জুলাই হত্যাকাণ্ডে খুনিদের বিচারের দাবিতে ঈশ্বরগঞ্জে গণস্বাক্ষর ●   ৩৫ তম রক্তদান করে প্রশংসিত মিরসরাইয়ের আনিসুল হক ●   ঘরে ঘরে আলাউদ্দিন তৈরী করো ●   ঈশ্বরগঞ্জে ছেলেকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা ●   চুয়েটে পিএমই ১৯ ব্যাচের বিদায়ী অনুষ্ঠান ●   বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিট উৎপাদনে ফিরল ●   সন্ত্রাসী লিপ্টন-কালুর সেকেন্ড ইন কমান্ড মুকুল মেম্বার গ্রেপ্তার ●   রাবিপ্রবি’তে ‘বাংলাদেশ সার্ভিস রুলস’ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত ●   আত্রাইয়ে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ●   সানরাইজ স্পেকট্রাম বাংলা রেডিও অনুষ্ঠানের ৩১ বছর পূর্তি ●   রাউজানে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ : আহত-৫০ ●   চুয়েটে সাংবাদিক সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত ●   মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল উন্নয়নে ১১ দফা দাবীতে সাংবাদিক সম্মেলন ●   রাঙামাটিতে সেনা রিজিয়নের বিনামূল্যে মেডিকেল ক্যাম্পেইন ●   পার্বতীপুরে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ●   নৌবাহিনীর উদ্যোগে কাপ্তাইয়ে জুলাই পুনর্জাগরণ উপলক্ষে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ●   বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির খেতমজুর ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় নেতা উমর ফারুক এর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ ●   হিজড়াদের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ট সাধারণ মানুষ ●   সাড়ে ৩ মাসেও উদ্ধার হয়নি অপহৃত টেলিকম ৪ কর্মী ●   আত্রাইয়ে চুরি ও মাদক মামলায় গ্রেফতার-৫
রাঙামাটি, রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
সোমবার ● ১৩ মে ২০১৯
প্রথম পাতা » পাবনা » জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েও দুঃস্বপ্ন জাহাঙ্গীরের চোখে মুখে
প্রথম পাতা » পাবনা » জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েও দুঃস্বপ্ন জাহাঙ্গীরের চোখে মুখে
সোমবার ● ১৩ মে ২০১৯
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েও দুঃস্বপ্ন জাহাঙ্গীরের চোখে মুখে

---চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি :: খুব ছোট বয়সে বাবা তার মাকে ত্যাগ করে চলে গেছেন। একমাত্র ছেলের ভবিষ্যতের জন্য ছোট শিশুকে তার নানা নানীর কাছে রেখে মাকেও যেতে হয়েছে ঢাকার একটি পোশাক কারখানায়। বাবা মা হীন শিশু নিজের প্রচেষ্টায় ধীরে ধীরে পড়ালেখায় হয়ে ওঠে ভীষন প্রতিভাবান মেধাবী একজন ছাত্র।

এবারের এসএসসি পরীক্ষায় পাবনার চাটমোহর সেন্ট রীটাস হাই স্কুল থেকে বিজ্ঞান বিভাগে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে জাহাঙ্গীর আলম। সে উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের অমৃতকুন্ডা গ্রামের জাহানারা খাতুনের সন্তান ও জাহের প্রামাণিকের নাতী। তার বাবাকে সে কখনও দেখেনি। মা পোশাক কারখানায় চাকুরী করে যে বেতন পান সব খরচ বাদ দিয়ে সেখান থেকে কিছু টাকা ছেলের পড়াশুনার জন্য পাঠাতেন। সেই টাকা স্কুলছাত্র জাহাঙ্গীরের প্রয়োজনের তুলনায় টাকার পরিমান ছিল নিতান্তই কম। পড়াশুনার পাশাপাশি স্কুল ছুটির দিনে গ্রামেই প্রতিবেশীদের জমিতে দিন মুজুর খেটে টাকা উপার্জন করেছে সে। বই পড়ে শিখেছে ইলেট্রিকের কাজ। গ্রামের বাড়িতে ইলেকট্রিকের ছোট খাটো কাজ করে যে টাকা পেয়ে থাকে সেটা দিয়ে ক্রয় করেছে পড়াশুনার নানা উপকরন। ছোট বেলা থেকেই পড়াশুনায় জাহাঙ্গীর ছিল ভীষন মেধাবী। সে পঞ্চম শ্রেণিতে জিপিএ-৫ এবং অষ্টম শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি লাভ করে। এতো কিছুর পরে অনেক বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে সর্বশেষ এসএসসি পরীক্ষায় ঈশর্^াণীয় ফলাফলের পরে জাহাঙ্গীরের ভবিষ্যতে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ নিয়ে ভীষন চিন্তায় সে। মায়ের সামান্য উপার্জনের টাকা দিয়ে কিভাবে উচ্চ শিক্ষা গ্রহন করবে সে চিন্তায় যেন দিশেহারা সে। তাহলে কি টাকার অভাবে থেমে যাবে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ।

এসএসসিতে ভাল ফল করেও উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করে মেধাবী ছাত্র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমার বাবা থেকেও নেই, মা ঢাকায় পোশাক শ্রমিকের কাজ করে যে পরিমান টাকা আমাকে দিতো সেটা দিয়ে আর আমি অন্যের জমিতে কাজ করে কিছু টাকা উপার্জন করে তা দিয়ে এতোদিনে পড়াশুনার কাজে ব্যয় করেছি। এখন আমার স্বপ্ন এইচএসসিতে পড়াশুনার জন্য ঢাকার নটরডেম কলেজে ভর্তি হবো। শুনেছি সেখানে পড়তে হলে অনেক টাকার প্রয়োজন। আমার মা তো ওতো টাকা দিতে পারবে না। আমি সবাইকে গর্ব করে বলতাম বড় হয়ে আমি ইঞ্জিনিয়ার অথবা ডাক্তার হব। এখন দেখছি টাকার অভাবে সে স্বপ্ন পুরণ হবেনা বলে মনে হচ্ছে।

মা জাহানারা খাতুন বলেন, আমার ছেলে এতো কষ্ট করে পড়াশুনা করে ভাল রেজাল্ট করেছে সে জন্য আমি ভীষন খুশি। শ্রমিকের কাজ করে যা টাকা পাই সেখান থেকে কিছু টাকা ওর পড়াশুনার জন্য দিতাম। তবে সে টাকা জাহাঙ্গীরের প্রয়োজনের তুলনায় খুব কম। এখন সে বড় ক্লাসে পড়বে, খরচও তো বেড়ে যাবে তাহলে কেমনে এতো টাকা আমি দিবো।
সেন্ট রীটাস হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সিস্টার মেরী মনিকা রেবারিও বলেন, দারিদ্রতাকে জয় করে লেখাপড়ার মাধ্যমে কিভাবে ভাল ফলাফল করা যায় তার জ¦লন্ত উদাহরন জাহাঙ্গীর আলম। সে ভীষন মেধাবী ও ন¤্র ভদ্র প্রকৃতির। মনের এক অজানা কষ্ট নিয়ে সবার থেকে সব সময়ই সে নিজেকে লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করে। সমাজের বৃত্তবানদের উচিৎ তার উচ্চ শিক্ষা গ্রহনে তাকে আর্থিক ভাবে সহায়তা করা। আমি তার ভবিষ্যত সুন্দর হোক এই কামনা করি।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)