শিরোনাম:
●   জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে রাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের ভূমিকা শীর্ষক স্মৃতিচারণা ●   বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির এমডি সাইফুল বদলি : নতুন এমডি আবু তালেব ●   ভানু বড়ুয়ার মৃত্যুতে পার্বত্য চট্টগ্রাম বড়ুয়া সংগঠনের শোক ●   ঈশ্বরগঞ্জে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা সভা ●   উচ্চ শিক্ষায় নরওয়ে যাচ্ছেন চুয়েটের আট শিক্ষার্থী ●   জুলাই সনদের পর জাতীয় নির্বাচন নিয়ে তালবাহানার কোন অবকাশ নেই ●   ঈশ্বরগঞ্জে মামলা দায়েরের ৪৮ দিন পর ধর্ষক গ্রেফতার ●   পঞ্চাশ বছর ধরে ভোগাচ্ছে একটি রাস্তা : কচুগাছ রোপণ করে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ ●   ই-সিগারেট কারখানা স্থাপনের অনুমোদন না দেয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে প্রজ্ঞা-আত্মা ●   বিদ্যুৎ পৃষ্ঠ হয়ে কাতারে রাঙ্গুনিয়ার এক প্রবাসীর মৃত্যু ●   পার্বতীপুরে জুয়ার আসরে যৌথবাহিনীর অভিযানে গ্রেফতার-২৩ ●   রাউজানে বিএনপির দুই নেতার সহিংসতা তদন্তে কেন্দ্রীয় কমিটি ●   চাঁদপুরে ৪৮ বছর পূর্বে প্রতিষ্ঠিত মাদরাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অবহেলীত ●   জীবন ইয়ুথ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ ●   পাঁচ শতাধিক ইয়াবাসহ দুই যুবক আটক করে ডিবি ●   জুলাই হত্যাকাণ্ডে খুনিদের বিচারের দাবিতে ঈশ্বরগঞ্জে গণস্বাক্ষর ●   ৩৫ তম রক্তদান করে প্রশংসিত মিরসরাইয়ের আনিসুল হক ●   ঘরে ঘরে আলাউদ্দিন তৈরী করো ●   ঈশ্বরগঞ্জে ছেলেকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা ●   চুয়েটে পিএমই ১৯ ব্যাচের বিদায়ী অনুষ্ঠান ●   বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিট উৎপাদনে ফিরল ●   সন্ত্রাসী লিপ্টন-কালুর সেকেন্ড ইন কমান্ড মুকুল মেম্বার গ্রেপ্তার ●   রাবিপ্রবি’তে ‘বাংলাদেশ সার্ভিস রুলস’ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত ●   আত্রাইয়ে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ●   সানরাইজ স্পেকট্রাম বাংলা রেডিও অনুষ্ঠানের ৩১ বছর পূর্তি ●   রাউজানে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ : আহত-৫০ ●   চুয়েটে সাংবাদিক সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত ●   মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল উন্নয়নে ১১ দফা দাবীতে সাংবাদিক সম্মেলন ●   রাঙামাটিতে সেনা রিজিয়নের বিনামূল্যে মেডিকেল ক্যাম্পেইন ●   পার্বতীপুরে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান
রাঙামাটি, সোমবার, ৪ আগস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
বৃহস্পতিবার ● ১৪ জানুয়ারী ২০১৬
প্রথম পাতা » পাবনা » চাটমোহরের মৃত্‍ শিল্প বিলুপ্তির পথে
প্রথম পাতা » পাবনা » চাটমোহরের মৃত্‍ শিল্প বিলুপ্তির পথে
বৃহস্পতিবার ● ১৪ জানুয়ারী ২০১৬
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

চাটমোহরের মৃত্‍ শিল্প বিলুপ্তির পথে

---
ইকবাল কবীর রনজু :: সভ্যতার উষালগ্ন থেকে পুরাতন সভ্যতাকে পরাজিত করে নতুন নতুন সভ্যতা এসেছে৷ নতুন নতুন প্রযুক্তি মানুষের জীবন জীবিকায় পরিবর্তন এনেছে৷ কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, শিল্প, সাহিত্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিবর্তন সাধিত হচ্ছে৷ নিরবে নিভৃতে নতুন প্রযুক্তির কাছে হার মানতে মানতে চাটমোহরের প্রাচীন ঐতিহ্য মৃৎশিল্প আজ বিলুপ্তির পথে৷ প্রাচীন ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে পাবনার চাটমোহরের নিমাইচড়া ইউনিয়নের পাল পাড়া গ্রামের পাল সমপ্রদায়ের কিছু অভাবী মানুষ এখনো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন৷ সনাতনী পদ্ধতি আকড়ে ধরে, প্রাচীন ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে নিরন্তর চেষ্টা করে যাচ্ছেন তারা৷ এভাবে তারা বেঁচে থাকার পাশাপাশি মৃত প্রায় এ শিল্পটিকেও কোন মতে বাঁচিয়ে রাখছেন৷ তাই সৃষ্টির উল্লাসে খেয়ে না খেয়ে সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি কাদা মাটি দিয়ে তৈরী করে থাকেন হাড়ি, পাতিল, কলস, খাদা, চাড়ি, সড়া, মুছি, কড়াই, মুড়ি ভাজার পাতিল, তবাক, মাটির কোলা, জালা, চাড়ি, ঝাঁঝুড়, মাটির খেলনা, ব্যাংকসহ বিভিন্ন রকমের গৃহস্থালী সামগ্রী৷ চাটমোহর পৌর এলাকা থেকে প্রায় ৮ কিলমিটার দূরে করতোয়া নদীর পাড়ে পাল পাড়া গ্রামটির অবস্থান৷ কবে এ গ্রামের উত্‍পত্তি তা বলতে পারেন না কেউই৷ ২০/২৫ বছর আগে এ গ্রামে শতাধিক পাল পরিবারের বসতি থাকলেও এখন টিকে আছেন ৩৩ পরিবার৷ বাড়ি ছাড়া তাদের মাঠে কোন ফসলী জমি নেই৷ এ গ্রামের আকালু পালের ছেলে জীবন কুমার পাল (৪০) জানান, জ্ঞান হবার পর থেকে পৈত্রিক পেশা হিসেবে মৃৎশিল্পের কাজের সাথে সম্পৃক্ত তিনি৷ এ কাজে তার স্ত্রী অর্চণা রাণী (৩৫) তাকে সহায়তা করে থাকেন৷ বড় ছেলে কার্তিক উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছে এবং ছোট ছেলে রাজকুমার স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ছে৷ ঐতিহ্যবাহী এ শিল্পের প্রতিকূল অবস্থা সম্পর্কে তিনি জানান, এ শিল্পের অন্যতম প্রধান উপকরণ এঁটেল মাটি৷ কয়েক বছর আগেও ২০/২৫ ডালি এঁটেল মাটির দাম ছিল ৬০/৭০ টাকা৷ এখন তা কিনতে হয় প্রায় হাজার টাকায়৷ জ্বালানীর দাম ও বেড়েছে অপ্রত্যাশিত ভাবে৷ মানুষ এখন মাটির তৈরী পাত্রের বদলে সিলভারের হাড়ি পাতিল কিনতে ও ব্যবহার করতে বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ করছে৷ তাই ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও আমরা এ শিল্পটিকে টিকিয়ে রাখতে পারছি না৷ নরেশ কুমার পাল জানান, এ এলাকায় মাটির তৈরী বাসন পত্রের কদর নেই৷ ঢাকা, শাহজাদপুর, নগরবাড়িসহ বিভিন্ন এলাকার পাইকাররা এসে বাসনপত্র কিনে নিয়ে যায়৷ বিভিন্ন ফসলের মৌসুমে আমরা গ্রামে গ্রামে গাওয়াল করি৷ পরেশ চন্দ্র পাল (৬৫) জানান, মৃৎশিল্পের কাজ করে কোন মতে খেয়ে পরে জীবন পরিচালনা করছি৷ এ পেশায় ধ্বস নামায় পাল সমপ্রদায়ের অনেকে এখন পেশা পরিবর্তন করে অন্য পেশায় চলে গেছেন৷ রনজিত্‍ পাল (৪৬) জানান, জ্ঞান হবার পর থেকে এ কাজে সম্পৃক্ত আছি৷ ২৫ থেকে ৩০ রকমের জিনিষ পত্র তৈরী করি৷ একটি ভাটা পোড়াতে প্রায় ২ হাজার টাকার জ্বালানী প্রয়োজন হয়৷ উত্‍পাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় এবং ঐতিহ্যবাহী এ শিল্পটি জৌলুশ হারিয়ে ফেলায় কেবল পালপাড়া নয় চাটমোহরের বেলগাছি, হরিপুরসহ অন্যান্য এলাকার পালেদেরও মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে৷ সামপ্রদায়িক সমপ্রীতি বজায় থাকলেও পেশায় সুবিধা করতে না পারায় অনেকে রাতের আঁধারে দেশ ত্যাগ করছেন৷ গত কয়েক বছরে পালপাড়া ও বেলগাছির অনত্মত ৫০ পরিবার দেশ ত্যাগ করেছেন৷ তিনি আরো জানান, ৩০/৪০ বছর পূর্বে চাটমোহরে প্রায় সহস্রাধিক পরিবার এ পেশায় ছিল৷ এখন এ সংখ্যা কমে এক পঞ্চমাংশে নেমে এসেছে৷ আমাদের ছেলেরা এখন পড়া লেখা করছে৷





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)