রবিবার ● ৮ মে ২০২২
প্রথম পাতা » কৃষি » রায়হান জৈব কৃষি খামারে ৮ কেজি ওজনের দেশি পেঁপে
রায়হান জৈব কৃষি খামারে ৮ কেজি ওজনের দেশি পেঁপে
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার লক্ষিপুর গ্রামে আট কেজি ওজনের পেঁপে! তাও আবার দেশী। বিশ্বাস করুন আর নাই করুন এমন দানবীয় সাইজের পেঁপে চাষ হচ্ছে। এই গ্রামের ‘রায়হান জৈব কৃষি খামার’ নামে একটি খামার গড়ে তুলেছেন ড.নজরুল ইসলাম নামে এক শিক্ষিত যুবক। ওই খামারে চাষ করেছেন দেশি জাতের পেঁপে। তবে দেশি জাতের পেঁপের আকারের তুলনায় তার চাষ করা পেঁপের আকার দানবীয়। একেকটির ওজন হবে আট কেজি করে। দানবীয় এ আকারের কারণে এর নাম দিয়েছেন ‘জায়ান্ট পার্ল পেঁপে’। নজরুল ইসলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাণীবিদ্যা বিভাগে অনার্স-মাস্টার শেষ করে জাপান থেকে মেরিন সায়েন্সে পিএইচডি ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। দেশে ফিরে কিছুদিন কাজ করেন বাংলাদেশ মৎস্য ও কৃষি উন্নয়ন গবেষণা কেন্দ্রে। এরপর জাইকার (জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি) অর্থায়নে পরিচালিত রাজধানী ঢাকার একটি প্রজেক্টে যোগ দেন। কিন্তু করোনাকালে প্রজেক্ট বন্ধ হয়ে গেলে তিনি নিজ গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসেন। এরপর থেকে কী করবেন এমন চিন্তা করতে করতে শুরু করেন কৃষিকাজ। পরে গড়ে তোলেন রায়হান জৈব কৃষি খামার। নজরুল ইসলাম জানান, তিনি প্রথমে খামারের মধ্যে পুকুর খনন করে মাছচাষ শুরু করেন। এরপর এলাকার একজন কৃষকের কাছ থেকে ১০০টি দেশি পেঁপের চারা কিনে পুকুর পাড়ের উর্বর মাটিতে আবাদ করেন। সব সময় জৈব সার ব্যবহার করেন। কখনো রাসায়নিক সার ব্যবহার করেননি। কিছুদিন পর গাছে ফল এলে বাড়তি যতœ নেওয়া শুরু করেন। হঠাৎ একদিন খেয়াল করেন কয়েকটি গাছের পেঁপে দেশি পেঁপের তুলনায় আকারে অনেক বড়। পেঁপেগুলো পাকার পর গাছ থেকে সংগ্রহ করে ওজন করে দেখেন একেকটির ওজন ৭-৮ কেজি করে। তিনি বলেন, বাজারের হাইব্রিড পেঁপেও ওজনে সাধারণত দেড় কেজির বেশি হয় না। কিন্তু তার চাষ করা একেকটি পেঁপের ওজন ৭-৮ কেজি। পরে তিনি এই পেঁপের নাম দেন জায়ান্ট পার্ল পেঁপে। পেঁপে চাষের জন্য পুকুরের তোলা মাটি ব্যবহার করেছেন নজরুল ইসলাম। তার দাবি, পুকুরের তোলা মাটি অনেক বেশি ঊর্বর হয়। তার পেঁপের ফলনের কারণ এই মাটিই। সম্প্রতি ঝড়ে নজরুল ইসলামের খামারের অনেক পেঁপে গাছ ভেঙে গেছে। নজরুল ইসলাম জানান, তার একটি পেঁপে গাছে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ চার মণ পর্যন্ত পেঁপে হয়। প্রথম দিকের পেঁপেগুলো ৭-৮ কেজি ওজনের হয়েছিল। কখনো কখনো ১০ কেজি পর্যন্ত হয়। তবে দ্বিতীয় ধাপে যে পেঁপেগুলো পাওয়া যায় সেগুলোর আকার তুলনায় ছোট হয়েছে। তার ওজন ৪-৫ কেজি হবে। নজরুল ইসলাম বলেন, তার এই পেঁপে দেখে অনেকে এখন বীজ নিচ্ছেন।’ এ বিষয়ে কোটচাঁদপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মহাসীন আলী বলেন, ‘ওই খামার পরিদর্শন করে পেঁপেগুলো দেখেছি। এটির সাইজে অনেক বড় ও খেতেও সুস্বাদু। কৃষকরা এটি আবাদ করলে ভালো লাভবান হবে। কারণ ফলন অনেক হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘পেঁপে চাষের জন্য দরকার উঁচু জায়গা যেখানে পানি জমার আশঙ্কা থাকবে না। কারণ পেঁপে গাছের গোড়ায় একদিন পানি জমে থাকলে গাছটি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে।’





আত্রাইয়ে পাট চাষে দিন দিন আগ্রহ হারাচ্ছেন কৃষকরা
কাউখালীতে কৃষি অধিদপ্তরের পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস অনুষ্ঠিত
কাউখালীতে জাতীয় ফল মেলা অনুষ্ঠিত
ঝালকাঠিতে আম বাগান হয়ে উঠেছে সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত
বাগেরহাটে লবণাক্ত পতিত জমিতে মাঠজুড়ে সূর্যমূখীর হাঁসি ঝিলিক
আত্রাইয়ে বেড়েছে পেঁয়াজের বীজ চাষ
শরীরের জন্য পুষ্টি, তাপ ও শক্তি যোগাতে পুষ্টিকর খাবারে কোনো বিকল্প নেই : মনিরুজ্জামান খান
ফটিকছড়িতে বোরো চাষে নারী শ্রমিকরা
রাউজানে সরিষা ক্ষেতে হলুদের হাতছানি
সুরাইয়া বিলকিসের বিষমুক্ত ছাদ বাগান